ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কয়েকটি ইউনিয়নের বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট রোগ সংক্রমণ করেছে। এতে ধান গাছ পুরে যাওয়ার মতো শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিকার না পেয়ে চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ রোগে ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এখন কৃষকদের মাথায় হাত। দিশেহারা হচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে নেক ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পরছে। এ রোগের প্রভাবে ক্ষেতের ধানের শীষ আস্তে আস্তে সাদা হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারগাড়া গ্রামে গেলে আতাউর রহমান নামে একজন মৌসুমী কৃষক বলেন, ‘আমার ৪ একর বোরো ধানের ক্ষেতে বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ ছরিয়ে পরছে। ধানের শীষগুলো চিটা হয়ে যাচ্ছে। বাকি ধানগুলোও হুমকির মধ্যে আছে। দোকান থেকে কিটনাশক এনে ক্ষেতে প্রয়োগ করে কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। আমাদের এলাকায় নিয়োজিত কৃষি ব্লক সুপারভাইজারকে আমরা চিনি না। আজ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি। সুপারভাইজারকে আমাদের গ্রামে কখনও দেখা যায়নি।
একই গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দিনের ২০ শতাংশ, শাহ আলমের ৪০ শতাংশ, মনির হোসেনের ৩০ শতাংশ জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে মনিরের ৩০ শতাংশ ক্ষেতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ। এক মুঠ ধানও সে ঘরে নিতে পারবে না। এলাকার আরও অনেক কৃষকের ক্ষেতে এ রোগ দেখা দিয়েছে।
আঙ্গারগাড়া ব্লকের উপ-সহকারী ব্লক সুপারভাইজার মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, ‘আমি আর একটা ব্লকে কাজ করি এই ব্লকে আমি ভারপ্রাপ্ত হিসাবে আছি। আমি আগামীকালকে গিয়ে খোঁজ খবর নিবো। দুইটা ব্লক চালানোর কারণে হিমশিম খাচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নারিগিছ আক্তার জানান, ‘আমরা কৃষকদের ব্রি ২৮ ধান চাষ না করতে নিরুৎসাহিত করি। এই ধানে এই রোগটা বেশী হয়। আমার ৩৪জন এস এ এ ও থাকার কথা কিন্তু আছে ২২ জন। ১২টা ব্লক ফাঁকা। তাদের একজন ব্লক সুপারভাইজারকে ২টি ব্লক দেখতে হচ্ছে। তাই এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। পুরো ডাকাতিয়া ইউনিয়নে মাত্র ২জন ব্লক সুপারভাইজার দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। আমি আগামী কালকে তাদের ওই এলাকায় পাঠাবো।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল