কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌর শহরের দুইটি সবজি ও মাছ বাজার বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বাজার দুইটি সরিয়ে শহরের টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বুধবার থেকে এটি কার্যকর এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। বুধবার সকাল থেকে বিক্রেতারা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে খেলার মাঠে খোলা বাজার বসিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে এসব বাজারে মালামাল কিনছেন ক্রেতারা।
খেলার মাঠে বাজার স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও পৌর মেয়র হাজী মো. ইসলামসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে, গত সোমবার ও মঙ্গলবার দিনভর টেকনাফ পৌরশহরে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ে বলা হয়, টেকনাফ পৌর শহরের উপরের বাজার ও স্টেশনে বাজারে অবস্থিত বড় দুইটি কাঁচা বাজার, মাছের বাজারে সব সময় মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। এতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকেই যায়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকারি সিদ্ধান্তে বাজারগুলো অন্যত্রে স্থানান্তর করতে হবে। সকল খুচরা ব্যবসায়ীকে তাদের কাঁচামালের দোকান নিয়ে বুধবার সকাল থেকে শহরের টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে বসার জন্য বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ওই মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ দোকান নিয়ে বসবেন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠের বাজার দেখভাল করবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠে পর্যাপ্ত জায়গা আছে। সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা করতে পারবেন।
এদিকে, কাঁচা বাজার ও মাছের বাজারগুলো খোলা আকাশের নিচে রোদ্রের খরতাপে খেলার মাঠে স্থানান্তর করে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়ায় এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক বিক্রেতাগণ।
পৌর শহরের উপরের বাজারের ইজারাদার মনু মিয়া বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে বাজার খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রায় শতাধিক সবজি ও মাছ ব্যবসায়ী তাদের মালামাল নিয়ে বসেছেন। প্রশাসন সবসময় মনিটরিং করছে।
টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মো. ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপদ ও ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারগুলো খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখান থেকেই ক্রেতারা দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পণ্য কিনছেন। আমাদের সব সময় মনিটরিং রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, টেকনাফ পৌর শহরের দুইটি বড় বাজারে মানুষের ঢল কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা উভয়েরই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না। তাই জনস্বার্থে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য খেলার মাঠে বাজার স্থানান্তরের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইস্কুল খেলার মাঠে আজ বুধকার সকাল থেকে সবজি ও মাছ বেচাকেনা শুরু হয়। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দিবে পৌর কর্তৃপক্ষ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন