বগুড়ায় হেলমেট না পড়ার অপরাধে ৩ জন পুলিশ সদস্যসহ ৪২৫ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইন চলাকালে বগুড়া শহরের সাতমাথায়সহ কয়েকটি এলাকায় ২০ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিলের মধ্যে বগুড়া ট্রাফিক বিভাগ থেকে যানবাহনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।
তারপরও সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, আইন অমান্যকারী সাধারণ যানবাহনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৯ এপ্রিল রবিবার শহরের মধ্যে অযথা ঘোরাঘুরির জন্য ১৯৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা এলাকায় অযথা ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে ৫০ জন মোটরসাইকেল চালককে আধাঘণ্টা রোদের মধ্যে বসিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয়। কিন্তুু এতেও সমাধান মেলেনি। দেখা গেছে বিভিন্ন অজুহাতে লোকজন শহরে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারসহ নানা যানবাহন নিয়ে বের হচ্ছে। যাদের অধিকাংশেরই তেমন কোনো জরুরি কাজ নাই। অকারণে বের হওয়া লোকজনের জনসমাগম ঠেকাতে পুলিশকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
এদিকে, পরিস্থিতি দেখতে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা নিজেই মাঠে নামেন। গত তিনদিন ধরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান। মঙ্গলবার দুপুরে তার উপস্থিতিতেই ৩ জন পুলিশ সদস্যকে হেলমেট না থাকার কারণে মামলা দেয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বদিউজ্জমান বলেন, শহরের সাতমাথায় একটি প্রাইভেট কারের সম্মুখ ভাগের কাঁচে 'জরুরি ত্রাণ কাজে নিয়োজিত' লেখা স্টিকার ছিল। অথচ গাড়ির মধ্যে ছিল না কোনো ত্রাণ সামগ্রী। একটি গ্রুপে চাকরি করা প্রাইভেট কার চালক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে ওই গাড়িতে মামলা দেয়া হয়। এমন আরও কিছু গাড়ি আরও যারা অযথায় বিভিন্ন স্টিকার লাগিয়ে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি করছে। এসব বিষয়ে কঠোর হওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বগুড়া সদর ট্রাফিক ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, গত তিন দিনে ৪৭৫টি যানবাহনের চালকের নামে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল তিনজন পুলিশ সদস্যসহ ১২০টি, ২০ এপ্রিল ১৬০টি এবং ১৯ এপ্রিল রবিববার ১৯৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২২ এপ্রিল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের আরও কঠোর হওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে যেন ঘরের বাহিরে না আসে শহরবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন