কৃষি শ্রমিক সেজে চট্টগ্রাম থেকে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাস ভরে গার্মেন্টসকর্মীসহ বিভিন্ন লোকজন নিয়ে আসায় বাস দুটির চালক ও মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সীমান্ত আঠারোবাড়ি সড়কের সাহিতপুর চেকপোস্টে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় বাস দুটি (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৭৪২ ও ব-১৪-৫০২৯) জব্দ করে চালকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৬টি, পরে ২টি ও সর্বশেষ বুধবার (২২ এপ্রিল) ২টি বাস আসে। আগের বাসগুলোতে ২০ জন করে তালিকা অনুযায়ী মিল পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জব্দকৃত সর্বশেষ বাস দুটোতে তালিকা অনুযায়ী মিল পাওয়া যায়নি। এসময় চেকপোস্টে বাস থামিয়ে চেক করলে পতেঙ্গা থেকে আসা একটিতে ৪৩ জন ও অন্যটিতে ৪৪ জন করে মোট ৮৭ জন গার্মেন্টসকর্মী-সহ বিভিন্ন লোক পাওয়া যায়। ওইদিকের তালিকার সাথেও কোনও মিল নেই। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলামকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় চালক জাফর ইকবাল ও সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। সেইসাথে দুজনকেই নগদ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বাস দুটি থানায় জব্দ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টসকর্মী ও লোকজন চলে এসেছে তাদেরকে বুঝিয়ে বলে দিয়েছি ১৪ দিন যেন তারা হোম কোয়ারেনটাইনে থাকেন।
এদিকে, আদালত পরিচালনার পর ইউএনও নিজের ফেইসবুক আইডিতে লেখেন, কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকার কৃষি শ্রমিকদের যাতায়াত সহজীকরণের নির্দেশনা দিয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৃষি শ্রমিক সেজে লকডাউন ভেঙে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বহিরাগত লোকজন। ২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা থেকে দুটি বাসভর্তি লোক কৃষি শ্রমিক সেজে কেন্দুয়ায় প্রবেশ করে।
সাহিতপুর বাজারে পুলিশের চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। পরে দেখা যায়, এদের অধিকাংশ গার্মেন্টসকর্মী ও অন্যান্য পেশার লোক, যাদের বেশিরভাগের বাড়ি কেন্দুয়ার বিভিন্ন এলাকায়। এই অবস্থায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর অধীনে বাস দুটির চালক ও যাত্রী পরিবহনকারী ব্যক্তিদের মোবাইল কোর্টে ২টি মামলায় ৫০ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রী পরিবহনকারী বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম