হাওর অঞ্চলে ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে শ্রমিক পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ঘোড়াঘাট পুলিশের উদ্যোগে ট্রাকে করে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন হাকিমপুর ঘোড়াঘাটের সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আখিউল ইসলাম।
প্রথম দিনে ৩৩ জনের এ দলটি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ২৩ জন এবং শুক্রবার সকালে ৫১ জন শ্রমিককে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম। পাঠানোর সময় সকল শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গাড়ীতে উঠানো হয়।
এ সময় কয়েকজন শ্রমিক জানায়, তারা প্রতিবছর নাটোরের হাওর অঞ্চলে ধান কাটতে যায়। তবে এবারের করোনা ভাইরাসের কারণে যেতে পারছিলাম না। পরে ঘোড়াঘাট থানার সহযোগিতায় ৩৩ জন শ্রমিক একটি ট্রাকে রওনা দেয়। তারা আরো জানায়, কাজ করার পরে যে আয় হবে, তা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে পারবে এমনটাই বলেন তারা।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন হাওর অঞ্চলে ইরি-বোরো মওসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ওইসব অঞ্চলে মারাত্মক শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেওয়ায় ওই সব অঞ্চলে প্রতি বছর দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শ্রমিক গিয়ে ধান কেটে দিয়ে আসে। কিন্তু এবার পরিবহন সঙ্কটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে শ্রমিকরা যেতে পারছিল না। দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে শর্ত সাপেক্ষে শ্রমিক সঙ্কট এলাকায় ট্রাকে করে শ্রমিক পাঠানো শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার ৩৩জন পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ২৩ জন এবং শুক্রবার ঘোড়াঘাটের ৩৭ জন ও হাকিমপুরের ১৪ জন শ্রমিককে ট্রাকে করে নাটোর, নোয়াখালীর হাওর এলাকায় ধান কাটতে পাঠানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন