সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ডে এসওরোড এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে যুবলীগ নেতা আশ্রাফ উদ্দিন ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে ঐ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নিজেদের ট্যাংকলরীর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের তেল সরবরাহকে কেন্দ্র করে নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ভায়রা মিলনের ছেলে নেহালের সাথে যুবলীগ নেতা আশ্রাফ উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এই কথা কাটাকাটিই বিকেল ৪টায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আশ্রাফ উদ্দিনের ৫ জন লোক আহত হয়। এদের কয়েকজন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এতে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের ৫ জন সমর্থক আহত হয়।
আহতরা হলেন, মুন্না, আব্দুর রব, নাইম, ইব্রাহিম, রিয়াজ, ফারুক হোসেন বাক্কু, আলাউদ্দিন, নুর হোসেন, নোমান ও সুমন।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিরাজ মন্ডলের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমার ৫ জন কর্মী আহত হয়েছে।
অন্যদিকে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমার লোকজন দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে যুবলীগ নেতা আশ্রাফ উদ্দিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তার লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা করে। এতে আমার ৫ জন লোক আহত হয়েছে। এদের চারজনকে নারায়ণগঞ্জ ভিকটোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়াও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ