করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য সব স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। কিন্তু মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে ছোলা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, স্থলবন্দর দিয়ে শুধু খাদ্যপণ্য আমদানি হচ্ছে। হিমায়িত মাছের পাশাপাশি রমজান উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ছোলা আমদানির চেষ্টা চলছে।
আমদানিকারকরা বলেন, গত তিন দিনে কার্গো ট্রলারে টেকনাফ পৌঁছেছে প্রায় ৮০ মেট্রিক টন (১ হাজার ৬০০ বস্তা) ছোলা। শিগগিরই আসবে আরও ১০০ টন। করোনা আতঙ্কে মিয়ানমারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় চাহিদামতো ছোলা আনা যাচ্ছে না।
আমদানিকারকেরা আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা প্রতিকেজি ছোলার দাম পড়ছে ৬৫ টাকা। টেকনাফ বন্দর থেকে ট্রাকে সেই ছোলা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পৌঁছাতে খরচ হয় আরও তিন টাকা। কিন্তু ৬৮ টাকার এই ছোলা টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের খুঁচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার টেকনাফ পৌর শহরের বাজারের বিভিন্ন দোকানে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকায়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ পৌরসভার বাসষ্টেশন ও বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ শাকের ও মনসুর বলেন, মিয়ানমারের ছোলা তাঁরা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে কেজি ৭০ টাকায় কিনে টেকনাফ এনে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। টেকনাফ বন্দর থেকে তারা ৬৮ টাকায় ছোলা কেনার সুযোগ পেলে ভোক্তারা লাভবান হতেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল