করোনার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বর্ণ-শিল্পের মালিকদের দোকান বন্ধ থাকায় এক হাজার স্বর্ণের কারিগর মানবেতর জীবনযাপন করছে। সারাবছর স্বর্ণ কারিগররা কাজ করলেও এখন পুরোপুরি বেকার তারা। তাদের হাতে কাজ থাকলেও দোকান বন্ধ রেখেছেন দোকান মালিকরা। ফলে স্বর্ণের কারিগররা বেকার হয়ে পড়েছেন।
স্বর্ণ-কারিগরদের সাধারণ সময় ছাড়াও বিশেষ করে বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে কাজ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া তাদের সবচেয়ে বড় মৌসুম রোজার ঈদ ও ঈদুল আজহায় কাজের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনায় গত ২৬ মার্চ থেকে সকল অনুষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ অত্যাবশকীয় দোকান ব্যতিত সকল দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে স্বর্ণের দোকান মালিকরাও তাদের দোকান বন্ধ করে দেন। এই অনিশ্চয়তা কবে নাগাদ কাটবে তারও কোনও ধারণা নেই কারও। বিশেষ করে জেলা শহরের পুরাতনবাজার, বাসুনিয়াপট্টি, হুজরাপুর, দাউদপুর রোডসহ বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের দোকান বন্ধ থাকায় কারিগরদের মধ্যে চলে এসেছে একরকম স্থবিরতা।
শহরের পুরাতন বাজারের জনি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ মোশতাকিম হোসেন জানান, করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনানুযায়ী ২৬ মার্চ থেকে দোকানসহ কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে. তেমনি কারিগররাও বেকার হয়ে পড়েছে। তাদের হাতে তেমন অর্থ নেই।
এদিকে স্বর্ণ শ্রমিক নাইম হাসান জানান, করোনার প্রভাবে সকল জুয়েলারি ব্যবসার পাশাপাশি সমস্ত কারখানা বন্ধ রয়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে জেলা শহরের প্রায় ৫’শ কারিগরসহ সারা জেলার প্রায় এক হাজার স্বর্ণের কারিগর। ফলে শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা এখন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারা নিজ নিজ কর্মস্থান ও কারখানা বন্ধ রেখে বাড়িতে অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ