করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লকডাউন চললেও নাঙ্গলকোটের মানুষ তা মানছে না। পৌরবাজার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ছোট-বড় বাজার ও দোকানপাটে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে করোনা ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক গত ১০ এপ্রিল পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। এরই প্রেক্ষিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর টিম মানুষকে বাসা-বাড়িতে অবস্থান করতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করেন।
প্রথমদিকে মানুষ নিয়মনীতি মানলেও গত কয়েকদিন নাঙ্গলকোট পৌরবাজার সহ উপজেলার জনবহুল বাঙ্গড্ডা, মাহিনী, পেড়িয়া, শ্রীফলিয়া, মক্রবপুর, ঢালুয়া, দৌলখাঁড়, জোড্ডা, বক্সগঞ্জ, ভোলাইনসহ ছোট-বড় বাজারগুলোতে মানুষের অবাধ যাতায়াত দেখা যায়। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার অলিগলি দোকানপাটেও দিন-রাত মানুষের আড্ডা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাজার সমূহে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে ক্রেতারা সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। ওষুদের দোকান, সবজি, মুদি, ফলের দোকানগুলোতে সবচাইতে বেশি ভিড় দেখা যায়। গত কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন বাজারের অনেক ব্যবসায়ী নিয়ম না মেনে কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স ও কনফেকশনারী দোকান সমূহ খোলা রাখতে দেখা যায়। এ যেন সব সময়ের মতো স্বাভাবিক অবস্থা!
ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনী এবং নোয়াখালীর সীমান্তবর্তী দাগনভুঁইয়া, সেনবাগ ও সোনামুড়ির সাথে মানুষের যাতায়াতের স্থানগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে প্রথমদিকে কড়াকড়ি আরোপ করলেও এখন সেটাও মানা হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নাঙ্গলকোটে এখনও কারো শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া না গেলেও পার্শ্ববর্তী লাকসাম এবং সেনবাগে অনেকের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। সেক্ষেত্রে নাঙ্গলকোট করোনামুক্ত নয় বলে স্বাস্থ্যবিদরা জানান। কিন্তু বাজার সমূহে মানুষের উপচেপড়া ভিড় নাঙ্গলকোটকে অচিরেই করোনার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে বলে সচেতন মহলের আশঙ্কা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, আমরা নিয়মিত বাজারগুলো মনিটরিং করছি। চেষ্টা করছি মানুষকে লকডাউন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে। অনেকদিন হয়ে গেছে তাই মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না। আমাদেরকে আবারো হার্ডলাইনে যেতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ