বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুণাহার ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের চাল নিয়ে অনিয়ম করায় উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জাকির হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে দায়িত্বভার দিয়েছেন। সোমবার থেকে এই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুণাহার ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্ত এই চাল সঠিকভাবে ওই এলাকার ডিলার প্রদান করেনি। চাল না পাওয়া ভুক্তভোগী হবিবর, সুন্দরী, আরিফুল ইসলাম, নেহেরা, রওশন আরাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা গত ২৬ এপ্রিল দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারিরা জানান, তাদের নিজ নিজ নাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিন্তু তারা কেউ একবার, কেউ ২ বার চাল পেয়েছেন আবার কেউ কেউ চালই পায়নি। তাদেরকে চাল দেওয়ার কথা বলে কাগজে টিপসইও নেওয়া হয়। তারপরও চাল পায়নি তারা। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাটি তদন্ত করতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই তদন্ত প্রতিবেদন চলতি সপ্তাহে দিতে বলা হয়।
ভুক্তভোগী গুনাহার ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সুন্দরী জানান, তিনি এপ্রিল মাসে প্রথম ৩০ কেজি চাল পেয়েছেন। অথচ তার কার্ডে ১৪ বার চাল উত্তোলন করার টিপসই রয়েছে। তিনি সঠিকভাবে চাল পান না বলে অভিযোগ করেন।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া নির্বাহী অফিসার এস এম জাকির হোসেন জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারশিপ বন্ধ করা হবে। একই সাথে যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন