করোনার সংক্রমণ নিয়ে ঢাকা থেকে নিজের বাড়ির আসার পর সেখানে ঠাঁই না পেয়ে গেলেন হাসপাতালে। সেখানে তার করোনা উপসর্গ সম্পর্কে নিশ্চিত করা হলে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তিনি পালালেন, অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালেই পাঠায়।
জানা গেছে, ঢাকার মগবাজার এলাকায় মুদি ব্যবসার সাথে জড়িত এক ব্যক্তি সর্দি, জ্বর ও কাশি দেখা দিলে তিনি নিজেই কয়েকদিন আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করেন। এতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
তিনি রবিবার বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে চলে আসেন। কিন্তু বাড়ি আসলেও তার করোনা আক্রান্তের খবর জানতে পেরে বাড়ির লোকজন তাকে ফিরিয়ে দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে রাতে তিনি নিজেই চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। কিন্তু তিনি এর কিছুক্ষণ পর ওই ওয়ার্ডের স্টাফদের ফাঁকি দিয়ে সটকে পড়েন। পরে তিনি তার গ্রামের বাড়ির পাশে একটি বাগানে আশ্রয় নেন। পালানোর ঘটনায় টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তারা বিষয়টি চাঁদপুর পুলিশ সুপারকে জানান।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ রোগীর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা.
সুজাউদৌলা রুবেল জানান, করোনা পজেটিভ হলেও রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তার মধ্যে নানা ধরণের আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় ভর্তি হওয়ার পর তিনি পালিয়ে যায়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, চাঁদপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই ব্যক্তির মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত হই। পরে কুইক রেসপন্স টিম একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গ্রামের বাড়ির একটি বাগান থেকে ওই রোগীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন