পাহাড়ে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে রাঙামাটি সেনা সদর জোন ২০ বীর। মঙ্গলবার রাঙামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের নিন্ম আয়ের মানুষগুলোর ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন।
সেনা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লকডাইনে থাকা মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছিল সেনাবাহিনী। মানুষ যাতে ঘরে অবস্থানকালে ক্ষুধার্ত না থাকে তার জন্য সেনা সদস্যরা তাদের রেশম থেকে একটি বিরাট অংশ রাঙামাটির উলুছড়ি, শিমুলতলী, পাবলিক হেলথ, ডুবাছড়া গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবারকে বিতরণ করেন। শুধু তাই নয় উচু পাহাড় ও দূর্গম অঞ্চলে পায়ে হেটে নিজ কাঁদে করে দারিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঘরে ঘরে এ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন তারা। ত্রাণ সমগ্রীর মধ্যে রয়েছে-চাল, আটা, পেয়াজ, তেল, ডাল।
একই সাথে হাত ধোঁয়া ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য সেনা সদস্যরা মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপরে রাঙামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি এখনো করোনাভাইরাস মুক্ত রয়েছে। কারণ এ অঞ্চলের মানুষকে ঘরে রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাই এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ এ অঞ্চলের মানুষগুলোকে স্পর্শ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, লকডাইনে যেসব মানুষগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ নিন্ম আয়ের। তাই তাদের জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্থর। সেনাবাহিনীও তাদের রেশমের একটি অংশ এসব দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের মধ্যে বিতরণ করেছে। শুধু তাই নয় দূর্গম পাহাড়ি গ্রামগুলোতেও তারা পায়ে হেটে এ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। যে কোনো দূর্যোগপূর্ণ মুর্হুতে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। এই জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় রাঙামাটি সদর জোনের বিভিন্ন ক্যাম্পের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে রাঙামাটি জোনের আওতাধীন এলাকার ৮ শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে রাঙামাটি জোনের দায়িত্বে থাকা ২০ বীর।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম