কক্সবাজারের সেন্টমাটিনে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালের দিকে উপজেলার সেন্টমাটিন ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে ওই স্কুলে অধ্যায়নরত ছাত্রীর বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নিদের্শে সেন্টমাটিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল সরকার ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল সরকারকে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। তাদের দেখে মেয়ের মা-বাবা, বর, ও তার মা-বাবসহ অন্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ছাত্রীর বাবাকে ১৮ বছর আগে তাকে বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদকে এ বিষয়টি তদারকি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, বিয়ের জন্য তাদের সব আযোজন চলছিল ঘরোয়া ভাবে। তারা প্রতিবেশী ও একই গ্রামের বাসিন্দা। দেশের করোনাভাইরাস আতঙ্কে লকডাউন চলছে জেলাব্যাপী। তার মধ্যেও এ অবস্থায় বিয়ের আয়োজন কোনোভাবে সম্ভব নয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন