করোনার কারণে সব কিছু যখন স্থবির, ঠিক তখনই পাহাড়ে সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়েছে প্রকৃতি। বাহারি ফুল আর পাখির কলকাকলিতে এখন মুখর তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। পাহাড়ের বুকজুড়ে এখন শুধুই সবুজের সমাহার। দীর্ঘ বছর পর যান্ত্রিক জীবনের কোলাহলের বুক ছিড়ে পাহাড়ে যেন স্বস্তির পরশ একেছে প্রকৃতি।
জানা গেছে, রাঙামাটির এমন চিত্র শহরবাসী ঠিক কবে দেখেছে তা হয়তো মনে করা দুষ্কর। গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি,বাহারি ফুলের সৌরভ। আর পাখিদের কলকাকলি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ। এ যেন টানা যন্ত্রণার আড়মোড়া ভেঙ্গে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে রাঙামাটি। শহরের ফিসারি বাধ, পর্যটন, সদর উপজেলা, ভেদভেদি, বরদোম, রাঙাপানি ও আসামবস্তী সড়কসহ বিভিন্নস্থানে দেখা মিলছে প্রকৃতির সজিবতার এমন চিত্র।
টানা লকডাউনের পর রাঙামাটি শহরে যানবাহান আর মানুষের আনাগোনা কমে যাওয়ার পর যৌবন ফিরেছে প্রকৃতিতে। সড়কের পাশে এমন নানা রঙের ফুলের রক্তিম আভা শহরের সৌন্দয্যকে বাড়িয়েছে বহুগুণে। তাই তো সবুজ প্রকৃতির সাথে খুনসুটিতে মেতেছে জীব-বৈচিত্র।
শুধু শহর নয়, প্রকৃতির প্রভাব পরেছে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও। এমন নিরবতা আগে দেখেনি কেউ। জনশূন্য কাপ্তাই হ্রদের উচ্ছ্বলতা ছুয়েছে নীল দীগন্তকে। এ যেন এক কল্পনার রাজ্য। প্রকৃতির এমন স্নিগ্ধতায় মনে কেড়েছে স্থানীয়দের।
তাই পরিবেশবিদরা বলছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এমন স্বস্তির প্রকৃতি স্থায়ীত্ব করা সম্ভব।
লকডাউনের পর যান্ত্রিক কোলাহলের পাশাপাশি রাঙামাটি শহরে কমেছে বাষু দূষণও। রাঙামাটি শহরের এমন প্রকৃতির রূপ ধরে রাখতে হলেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ