টেকনাফে করোনা পরীক্ষার জন্য এ পর্যন্ত ২৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেলের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৩৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এর আগে সোমবার ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার পরে ২৫ জনই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে এক সপ্তাহ পার হওয়ার পর রামু আইসোলেশনে ভর্তি থাকা কোভিড-১৯ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলার বাহারছড়া মারিশবনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেনের নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার পাঠানো হয়েছিল। তার রিপোর্ট পুনরায় পজেটিভ এসেছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন করে ২০ জন পুলিশসহ আরও ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেলের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৭৫০ জন।
এসব বিষয় নিশ্চত করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, জ্বর সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথায় আক্রান্ত হওয়া রোগীরা নিজে থেকেই করোনা পরীক্ষার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মেডিকেল টিম গিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের থেকে নিজ নিজ বাড়িতেই আলাদা করে রাখা হয়েছে। এন পর্যন্ত ২৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহের মধ্যে ২৩৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কর্মরত এক চিকিৎসকসহ ৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। চিকিৎসকসহ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা বাড়ি ও প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠান লকডাউন করা হয়েছে।
করোনায় আক্রান্তরা রামু উপজেলার ৫০ শয্যা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত কর্মরত চিকিৎসক নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। আরও নতুন করে ২০ জন পুলিশ মোট ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে ৭৫০ জনের। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারের কোনো ধরণের খাদ্য সামগ্রীর প্রয়োজন হলে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল তদারকি করবে। বাকিদের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম