শিরোনাম
২৮ মে, ২০২০ ১৭:৪৭

জয়পুরহাটে বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন, লন্ডভন্ড শতাধিক গ্রাম

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন, লন্ডভন্ড শতাধিক গ্রাম

গত মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে টর্নেডোর তাণ্ডবে আজ বৃহস্পতিবারও লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে জয়পুরহাট জেলার ৪টি উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম। ৪৮ ঘন্টাতেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে এখনও দুই একদিন লাগবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।  

কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ধানসহ শাকসবজির। এলাকাগুলিতে এখনো পড়ে আছে শত শত গাছ। জয়পুরহাটের সংসদ সদস্য শামসুল আলম এবং হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঘূর্নিঝড় এলাকা পরিদর্শন করে নগদ টাকা, শাড়ী, লুঙ্গি এবং খাবার দিয়েছেন। তারা সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতর আশ্বাস দেন।   

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বেগের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়লে দেয়াল চাপায় একই পরিবারের মাসহ দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৮) তার দুই ছেলে সন্তান নেওয়াজ (৮) ও নিয়ামুল (৩)। এছাড়া কালাই উপজেলার হারুঞ্জ আকন্দপাড়া গ্রামে ঘর ভেঙ্গে পড়ে মৃত সালামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৭০) মারা যান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপপরিচালক স,ম মেফতাহুল বারি জানান দুবার ঝড়ে জেলার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ধানসহ শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমান প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানান তিনি। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গত রবিবার এবং মঙ্গলবার রাতে জেলার উপর দিয়ে প্রবল ঝড় বয়ে যাওয়ায় ক্ষেতলাল, কালাই ও জয়পুরহাট সদর এবং পাঁচবিবি উপজেলা উপজেলা প্রায় শতাধিক গ্রামের দুই হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে অজস্র। 

তিনি আরও জানান, ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় মুরগীর খামারের সেড ভেঙ্গে অন্তত ৪০ হাজার মুরগী মারা গেছে। এছাড়া গবাদি পশুও মারা গেছে ৮টি। সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলছে। এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল, নগদ টাকা এবং টিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর