কুমিল্লার লাকসামে করোনা উপসর্গ নিয়ে দু'জন মৃত্যুবরণ করেছেন। শনিবার তাদের মধ্যে মো. আবুল বাশার ওরফে বাদশা (৪৮) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ইকরামুল ইসলাম (৪৪) কর্মস্থল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসায় ইন্তেকাল করেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে তাদের দাফন করা হয়।
জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বিনই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবুল বাশার ওরফে বাদশা গত প্রায় ১০ দিন থেকে জ্বর, কাশি ও গলাব্যাথায় ভুগছিলেন।
বুধবার রাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এরই মধ্যে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে ১ টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আবুল বাশার ওরপে বাদশা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ বিনই গ্রাম শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া লাকসামের অন্য একজন হলেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার সাব ইন্সপেক্টর ইকরামুল ইসলাম। তিনি গত ৮/১০দিন থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ ছিলেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সীতাকুণ্ড থানা সংলগ্ন বাসায় থেকে তিনি ওষুধ সেবন করে আসছিলেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে আনা হয়।
লাকসাম উপজেলা, থানা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উপস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আবুল বাশার ওরফে বাদশা ও ইকরামুল ইসলামের মরদেহ গোসল এবং দাফনকার্য অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সম্পন্ন করে কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের গঠিত টিম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আবদুল বাশার ওরফে বাদশার মরদেহ দাফনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টিমকে সহযোগিতা করে কাউন্সিলর আবদুল আলিম দিদারের নেতৃত্বাধীন টিম।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী জানান, তাদের নমুনার রিপোর্ট আসলে করোনা ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
