১ জুলাই, ২০২০ ০৫:৪৮

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি


কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের নদনদীর পানি সামান্য কমতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ৫ দিন ধরে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর সকল পয়েন্টে কয়েক সেন্টিমিটার করে পানি কমে এখনও বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে ডুবে শান্ত, বেলাল ও মোস্তাকিম নামে তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান বন্যার পানিতে ডুবে তিন দিনে তিন শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।  

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমে ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৭সেন্টিমিটার কমে ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে,বন্যায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে জেলার ৮ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বন্যা দুর্গত এলাকায় ।স্যানিটেশন সমস্যাও প্রকট আকার ধারন করেছে এসব এলাকায়।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় ৩ হাজার ৬২২ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, জেলার ৩ পৌরসভা ও ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৫টি বন্যা কবলিত হয়েছে। আর ৩৫৭টি গ্রাম বন্যার পানিতে ভাসছে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৯ দশমিক ৫০কি.মি বাঁধ এবং ৩৭কি.মি গ্রামীন কাঁচা রাস্তা। ৫শত পরিবার ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছেন।

এদিকে, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, আমরা ইতোমধ্যেই ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ও ৩০২ মে.টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি এবং তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণও করা হচ্ছে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর