১ জুলাই, ২০২০ ২০:৪৮

কালিহাতীতে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

কালিহাতীতে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে

কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৩ টি গ্রামে ১৩ দিনের মধ্যে ৬টি দুর্ধর্ষ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ফলে এলাকার মানুষ খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছে। পুলিশ বলছে, অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে। জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নগরবাড়ী গ্রামের জয়দেব মোদকের বাড়িতে গত ১৬ জুন মঙ্গলবার রাতে দুর্ধর্ষ চুরি হয়। টিন কেটে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার অলংকার নিয়ে যায় চোররা। 

২৩ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নারান্দিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে চুরি করে ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও ৬ ভরি সোনার অলংকার নিয়ে গেছে। একই রাতে পাশের বাড়ির কাজী রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। সিদ্দিকুর রহমান বলেন এতো ধারাবহিক চুরি আর কোন দিন আমাদের এলাকায় হয় নি। আমরা থানায় জানিয়েছি। 

এর পরের দিনই ২৪ জুন বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ডের বিকাশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীল আলম দোকান থেকে বাড়ি ফিরতেছিলেন। বাড়ির নিকটে আসলে হাতে থাকা টাকার ব্যাগ  ছিনতাই করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় এক ছিনতাইকারী। জাহাঙ্গীর আলম পেছনে পেছনে ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে পারেন নাই। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই এলাকায় এ ধরনের ঘটনা কোন দিন ঘটে নাই। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে সাহস পাচ্ছেন না।

২৮ জুন রবিবার দিবাগত রাতে নগরবাড়ী গ্রামের গৌরাঙ্গ ভৌমিকের ৩ টি গরু চুরি হয়। গরুগুলোর দাম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে। গৌতম ভৌমিক বলেন, সম্প্রতি আমি গার্মেন্টেসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে এসে গরু পালন শুরু করছি। আমার সবগুলো গরু চুরি হওয়ায় আমি পথে বসে গেছি। এর পর দিন ২৯ জুন সোমবার ভোররাতে বাঁশজানা গ্রামের সাদেক আলী তালুকদারের স্ত্রীর কান থেকে সোনার দুল ছিড়ে  দৌঁড়ে পালিয়ে যায় এক চোর। ওই মহিলার কানে ৬ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।  
এছাড়া লুহুরিয়া গ্রামের এক বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। ইউনিয়নের নগরাবাড়ী গ্রামের সুশীল মোদকের বাড়িতে রাতে চুরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল চোরের দল। বাড়ির লোকজন টের পেলে চোররা পালিয়ে যায়। 

সম্প্রতি অনেকগুলো চুরি ও ছিনতাই হওয়ায় এলাকার মানুষ খুবই আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। চুরি রোধে নারান্দিয়ার নির্জন চন্দ্র ভৌমিকের বাড়িতে এলাকাবাসী ও পুলিশ বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদ অভিভাবকদের জিম্বায় তাদের ছেড়ে দেন। 

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ প্রশাসন বর্তমানে করোনা প্রতিরোধে ব্যস্ত। এই সুযোগে চুরি ছিনতাই শুরু করেছে একটি চক্র। একই এলাকায় একাধিক ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর