৮ জুলাই, ২০২০ ২০:০৫

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়া ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলে বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসীদের অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। 

তবে ঘরবাড়ি কর্দমাক্ত হয়ে থাকায় অনেকের তা মেরামত করতে হচ্ছে বলে জানায় নদী পাড়ের বন্যা কবলিতরা। বানভাসীদের দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অনেকে আবারো বন্যার আশংকা করে বাড়িঘর মেরামত না করে বাঁধেই অবস্থান করছেন। 

এদিকে, পানি নেমে গেলে বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে বানভাসীদের ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। সেই সাথে খাবার স্যালাইন ও ওষুধ সংকটেও রয়েছে। বন্যার পানিতে কৃষকদের নিমজ্জিত ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা পড়েছে চরম বিপাকে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের কৃষক মোতালেব মিয়া জানান, দুই বিঘা জমিতে শশা ও পটল লাগিয়েছিলাম। বন্যার পানি এসে সব শেষ করে দেয়। পানি আসার আগে প্রায় ১০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। পানিতে ডুবে আর ফসলগুলো রক্ষা করতে পারলামনা। এখন মোতালেবের মত আরো শতাধিক কৃষকের একই অবস্থা।

জেলার কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করতে শুরু করেছি। সার্ভে করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। আরো একটি ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়া ১৫২টি বিদ্যালয়ের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও উলিপুরের সুখেরবাতির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর