শিরোনাম
১৪ জুলাই, ২০২০ ২০:১৫

দিনাজপুরে বিপদসীমার উপরে আত্রাই নদীর পানি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে বিপদসীমার
উপরে আত্রাই নদীর পানি

কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজানের নেমে আসা পানিতে দিনাজপুরের আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার অপর প্রধান দুটি নদীর পূনর্ভবা বিপদসীমার মাত্র ৬০ সে. মি. নিচ দিয়ে এবং ফুলবাড়ীতে ইছামতি বিপদসীমার ৯৭ সে. মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে আত্রাই নদীতে ৩৯.৯৬০ মিটারে পানি প্রবাহিত হয়, এর বিপদসীমা ৩৯.৬৫০ মিটার। বৃষ্টি অবিরাম থাকলে আত্রাই নদীসহ সব নদীর পানি বাড়বে। তবে বৃষ্টিপাত না হলে পানি প্রবাহ কমে আসবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তা।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দিনাজপুর জেলার প্রধান ৩টি নদীর মধ্যে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর পানি ৩২.৭৮০ মিটার এর প্রবাহিত হচ্ছে এর বিপদসীমা ৩৩.৫০০ মিটার এবং ইছামতি নদীর পানি ২৮.৫১০ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে এর বিপদসীমা ২৯.৯৫০ মিটার। এছাড়াও ছোট যমুনা নদীর ২৯ দশমিক ৯৫০ মিটার বিপদসীমার বিপরীতে বর্তমানে ২৮ দমশমিক ৯৮০ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এদিকে করোনার এই সময়ে কয়েকদিনের অবিরাম টানা বর্ষণ ও উজানের নেমে আসায় পুনর্ভবা নদীর পানিতে দিনাজপুর সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাঙ্গীবেচা ব্রিজ এলাকা, বালুয়াডাঙ্গা হঠাৎপাড়া, লালবাগ, রাজাপাড়ার ঘাট, বিরল মাঝাডাঙ্গা, নতুনপাড়ার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষ উঁচু এলাকা ও বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে।

এ ছাড়াও বীরগঞ্জে শতগ্রাম ইউনিয়নের কাশিনগর, গড়ফতু ও বলদিয়াপাড়া এলাকায় আত্রাই নদীর পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে এইসব এলাকার মানুষ। কাহারোল উপজেলার বলেয়া ও ভেলোয়া গুচ্ছ গ্রামগুলোর চারিদিকে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। কিছু জায়গায় ডুবেছে ফসলের ক্ষেত। আগাম তৈরি করা আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে অনেকের। এতে সাধারন নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে দুর্ভোগে। 

দিনাজপুর পাউবোর পানি বিজ্ঞান উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে জেলার আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। প্রধান অন্য ২টি পুনর্ভবা ও ইছামতি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। উজান থেকে পানি নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে জেলার নদীগুলোর পানি বাড়ছে। দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে নদীগুলোর পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করবে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর