৯ আগস্ট, ২০২০ ১৫:২৮

শরীয়তপুরের বন্যার পানি কিছুটা কমলেও, কমেনি দুর্ভোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের বন্যার পানি কিছুটা কমলেও, কমেনি দুর্ভোগ

সংগৃহীত ছবি

বন্যার পানি বাড়িঘর থেকে নামতে শুরু করেছে। বন্যার কারণে শরীয়তপুরের কৃষিজমি, মৎস্য খামার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

শরীয়তপুরে জেলার ৪টি উপজেলায় বন্যার পানিতে গ্রামের সড়কগুলো রাস্তা তলিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

করোনা, ভাঙ্গন, বন্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে এ জেলার কয়েক লাখ মানুষের। ভাঙ্গনের আতঙ্ক সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়িঘর। ভাঙ্গন কবলিত প্রায় ৩ শতাধিক বাড়িঘর রাস্তার পাশে আবার পানির মাঝখানে রাখা হয়েছে। বাড়ি ঘর তোলার মত জায়গা না থাকার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। গরু-ছাগল নিয়ে  বিপাকে পড়েছে কৃষক। 

শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমলেও প্লাবিত এলাকার বন্যার পানি কমেনি এর ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বেশির ভাগ গ্রাম্য রাস্তাঘাট পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকলে ও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। 

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় সুরেশ্বর দরবার শরীফ বাঁধের ৬০ মিটার, চরআত্রা নওপাড়া এক কিলোমিটার, জাজিরার নাওডুবা ৮০ মিটার, ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া ৪০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে সুরেশ্বর পয়েন্টে ৪২ হাজার, চরআত্রা নোয়াপাড়ায় প্রায় ৪ লাখ, জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক ডাম্পিং করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর