২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:১৮

চিরিরবন্দরে 'ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক'

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

চিরিরবন্দরে 'ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক'

সবজি চাষে কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নতুন উদ্যোগ কৃষকদের দৌড়-গোড়ায় ‘ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক’ নামে কৃষিবান্ধব চিকিৎসাসেবা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী "মুর্জিব বর্ষ" উদযাপন উপলক্ষে চিরিরবন্দরে এ উদ্যোগ নিয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় কৃষকের জন্য চালু করেছেন ‘ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক’।

এখন কৃষকের খেতে আমন ধানসহ নানা জাতের মৌসুমি সবজি। কিন্তু সবজি চাষ করে স্বস্তিতে নেই কৃষক। প্রতিকূল আবহওয়ায় নানা রোগ বালাইয়ে আক্রমণ হচ্ছে সবজি ক্ষেত। পাতা কুকড়ানো, গাছে পচন, শিকড় মরে যাওয়া, গাছের বিবর্ণ রং, ফুল ও ফল ঝরে পড়াসহ নানা ধরনের রোগ। কীটনাশক প্রয়োগ করেও নিরাময় হচ্ছে না রোগ বালাই। তাই ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকের দিন কাটে চিন্তায়। আর কৃষকের এই চিন্তা দূর করতেই এমন উদ্যেগ নিয়েছে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগ। 
২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন কৃষি বিভাগ। ওই দিন প্রায় এক হাজার কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। 
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চিরিরবন্দর উপজেলার প্রায় ২৩ হাজার ৩২০ জন কৃষক প্রায় ১১'শ ৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করে থাকেন। 

ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা কৃষ্ণপুর গ্রামের রহমান আলী বলেন, ২০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। গাছের শিকড়ে পচন ধরে গাছ মারা যাচ্ছে। বিনামূল্যে ক্লিনিকের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা পত্রসহ পরামর্শ দিয়েছেন। 
একই গ্রামের মোতাহার হোসেন, দুলাল মিয়াসহ আরো অনেকে আসেন মরিচ, বেগুন, পটল, মূলা, করল্লা, লাউ সহ নানা জাতের সবজির রোগ-বালাই দমনের পরামর্শের জন্য।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলার ২৩ হাজার কৃষককে ঘরে ঘরে গিয়ে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিকের মাধ্যমে ফসলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্লিনিকে এসে ফসলের চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণে কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর