ছত্রাক ও মাজরা পোকার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক ব্যবসায়ীর পরামর্শে জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করে দুই বিঘা জমির ধান চারা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বগুড়ার শাজাহানপুরের জামালপুর গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম রবিবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কৃষক আসাদুল ইসলাম জানান, শাজাহানপুর উপজেলার জামুন্না বগুড়াপাড়া মাঠে তার দুই বিঘা জমিতে বিআর-৪৯ ধান রোপন করেন। বর্তমানে ধান পাকতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় ধান গাছে ছত্রাক ও মাজরা পোকা দমনের জন্য গত মঙ্গলবার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাজারের একটি দোকান মালিকের পরামর্শে বেশ কিছু ওষুধ কিনে নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করেন। পরমর্শ অনুযায়ী সবগুলো ওষুধ জমিতে প্রয়োগ করেন। পরের দিন থেকে ধান চারা পুড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই বিঘা জমির সব ধান পুড়ে যায়। পরে জানতে পারেন রাশেদ বীজ ঘর-এর মালিক জাহিদুল ইসলাম একজন অনভিজ্ঞ কীটনাশক ব্যবসায়ী। তার পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জামালপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মিলন নামের এক কৃষক জানান, শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাজারে কিছু নকল কীটনাশক ও নিম্নমানে বীজ বিক্রি হয়ে থাকে। তারা এই নকল ওষুধ ও বীজ বিক্রি করে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকের ক্ষতি করে আসছে।বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার