শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাজা আরও বাড়ানোর অবেদন করা হবে

সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলার ঘটনার রায় নিয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন হাইকোর্টে মামলটি স্থগিত ছিল। হাইকোর্ট থেকে মামলাটির স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচার কাজ শুরু করা হয়েছিল। মামলায় আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছে। ২০জন সাক্ষীর সাফাই সাক্ষ্যতে প্রমাণিত হয়েছে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা প্রমাণের ব্যতয় ঘটাতে পারেনি। যে রায় হয়েছে এতে বিচার কাজ সুষ্ঠ হয়েছে। ন্যায়বিচার হয়েছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি, এ রায় হাইকোর্টে বহাল থাকবে। রায়ের কপি তুলে পরীক্ষা করে দেখা হবে, আপিল করার সুযোগ আছে কি না। আপিল করার সুযোগ থাকলে সাজা আরও বৃদ্ধির জন্য অবেদন করা হবে। হামলার সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তারা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে প্রহসনের কোনো বিচার হয়নি।এর আগে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে, গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় সাবেক সংসদ সদস্য তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়র শেখ মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় কলারোয়া থানা পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আসামিদের মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার প্রধান আসামি সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। রায়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপি নেতা রিপন ও আরিফকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪৭ আসামিকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
আপনার মন্তব্য
পরবর্তী খবর