৩ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫৫

বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগ কমিটি নিয়ে বিতর্ক

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগ কমিটি নিয়ে বিতর্ক

বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ৫ মাস পর ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২ মার্চ সন্ধায় পাথরঘাটা উপজেলা কার্যালয়ে ৭টি ইউনিয়ন ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন দাদু।

ঘোষিত কমিটির নেতৃত্বে রাজাকার পরিবারের সন্তানদের পদ পদবী দেওয়ায় অভিযোগে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাংশ সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার বেলা ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিল আহমেদ শিবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ও বীরাঙ্গনা লাইলী বেগমের ছেলে মিজানুর রহমান আবু, মুক্তিযোদ্ধা মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রি, পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম মিরাজসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

তৃণমূলের একাধিক কর্মী বলেন, চিহ্নিত রাজাকার পরিবারের সন্তানদের নেতৃত্বে দেয়া হয়েছে। দলের নির্দেশে  রাজপথে আন্দোলন করেছি, বিএনপি- জামায়াতের আমলে নির্যাতিত হয়েছি। এখন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় রাজাকার পরিবারের সন্তানদের আওয়ামী লীগ কমিটিতে বড় পদ পদবি দিয়ে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে কি দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সংকট পড়েছে?

যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম মিরাজ বলেন, ২৬ বছর ধরে আমরা যুবলীগ নিয়ে পড়ে আছি। আওয়ামী লীগে আমাদের স্থান হচ্ছে না।

কালো টাকার বিনিময়ে তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তানকে ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। 

ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ক্ষোভের কারণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাবির হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, উপজলো আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন পর্যায়ে যাকে নেতা বলে মনে করেছেন তাকেই নেতৃত্বে দেয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেনি।  


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর