১৬ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৫৫

অপহরণের পর চাঁদা দাবি, বিকাশের এজেন্ট সেজে উদ্ধার করল পুলিশ

পাবনা প্রতিনিধি

অপহরণের পর চাঁদা দাবি, বিকাশের এজেন্ট সেজে উদ্ধার করল পুলিশ

মূলহোতা মিরাজুল ইসলাম শেখ।

পাবনায় অপহরণের দুই ঘণ্টার মাথায় শাহাদৎ মোল্লা (৪০) নামে এক পিয়াজ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মূলহোতা মিরাজুল ইসলাম শেখ (২৮) নামে একজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটক মিরাজুল শেখ সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের শালাইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে আটক করা হয়েছিল।

অপহৃত ব্যবসায়ী পাবনার আটঘরিয়া থানার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত দিরাজ মোল্লার ছেলে। পাবনার বিভিন্ন হাট-বাজারে পিয়াজ বিক্রি জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, শাহাদৎ মোল্লা বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ৫২ হাজার টাকা নিয়ে বের হয় হাজিরহাট যাওয়ার জন্য। মাঝপথে দুর্বৃত্তদের হাতে অপহরণের শিকার হন তিনি। তারা ফোন করে শাহাদৎ মোল্লার পরিবারের কাছে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করেন। সাথে সাথেই ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী পাবনার এসপির শরণাপন্ন হন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, বিকাশের দোকানদার সেজে অপহরণকারীদের সাথে কথা হয় আমাদের। তারা একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে বলে এক লাখ টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে।

তিনি জানান, পরে নিশ্চিত হওয়া যায় অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরের মালিক এলাকার খুবই খারাপ লোক ও সেই মূলহোতা। তার বাড়ি পাবনা সদর থানার গয়েশপুর ইউনিয়নের হামিদপুরে। তথ্য সঠিক হওয়ার সাথে সাথে অভিযান শুরু করা হয়। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরো জানান, অপহরণকারীরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ব্যবহৃত হোন্ডা ও ভিকটিম শাহাদৎ মোল্লাকে ফেলে পালিয়ে যায়। সেখানে বিশাল পুকুরের কারণে অপহরণকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় শাহাদৎকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতাকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় অপহরণকারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ অপরাধ করে চলছে। এই চক্রটি টার্গেট অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে। নারী দিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদাবাজি করা এই চক্রের কাজ। এই চক্রের সবাইকে ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি অচিরেই তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর