১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৫০

টঙ্গীতে পুলিশ দম্পতিকে মারধর, আটক ১

টঙ্গী প্রতিনিধি

টঙ্গীতে পুলিশ দম্পতিকে মারধর, আটক ১

গাজীপুরের টঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এক পুলিশ দম্পতিকে মারধরের অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহম্মেদের ছেলে সিফাত আহম্মেদকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে, রবিবার দুপুরে মারধরের শিকার হয় পুলিশ সদস্য মো. রিপন ও তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। ওই পুলিশ সদস্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় কর্মরত রয়েছেন।

জানা যায়, রবিবার দুপুরে পুলিশ সদস্য রিপন তার স্ত্রীকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা শেষে হাসপাতালের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। পাশেই চলছিল কোভিড ১৯ এর টিকা কার্যক্রম। এসময় হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নকর্মী পুলিশ দম্পতিকে জুতা রেখে বারান্দায় দাঁড়াতে বললে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পাশে থাকা কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া স্বেচ্ছাসেবক কাউন্সিলরের ছেলে সিফাত ও তার লোকজন ওই পুলিশ দম্পতিকে মারধর করে।

পুলিশ সদস্য রিপন বলেন, আমি আমার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসি। পরীক্ষা শেষে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এসময় হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নকর্মী আমাদের জুতা খুলে বারান্দায় দাঁড়াতে বলেন। জুতা না খুলে দাঁড়িয়ে থাকায় তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায গালিগালাজ করতে থাকলে আমি আমার পরিচয় দেই। কিন্তু একপর্যায়ে পাশে থাকা কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ও কাউন্সিলের ছেলে আমাদের মারধর করে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহম্মেদ বলেন, এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। বিষয়টি সমাধান করা হবে।

টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মী নন। তার নাম পরিচয় আমার জানা নেই।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর