শিরোনাম
২০ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৫৭

দিনাজপুরে সবুজ ফসলের মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে সবুজ ফসলের মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠে মাঠে এখন ঘন সবুজের সমারোহ। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও শীষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে তুলেছে। আর এই সবুজের ঢেউয়ে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

কয়েকদিন পরেই সবুজ ধানগাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসল দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে দিনাজপুরে এবারও ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের।

এদিকে চিরিরবন্দরসহ কয়েক এলাকায় জমির ধানে রোগ দেখা দিলেও সেটিও সতর্কতার সাথে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে কাটিয়ে উঠেছে কৃষকরা। তবে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা, আউলিয়াপুকুর, ফতেজংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাঠে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদে ভরে গেছে। ধানক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। ইরি-বোরো ধান লাভজনক ফসল। তাই কৃষকরা বোরো মৌসুমকে ঘিরেই দেখে নানা স্বপ্ন। এ বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাষিরা ধানের চারা রোপণ করেছেন। যথা সময়ে সার, বালাইনাশক ও সেচ দিতে পারায় ধান গাছ উজ্জীবিত রয়েছে।

স্থানীয় রফিকুল, আফসার আলীসহ কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। আর কয়েক দিন পরই ধান কাটা শুরু করা যাবে। এখন পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। এবছর বিদ্যুৎ ও সারের কোনো সংকট হয়নি। যার কারণে ফসলের চেহারাও অনেক সুন্দর হয়েছে। সবল-সতেজ চারাগুলো দেখে মনে হয় ধানের ব্যাপক ফলন হবে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তবে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা প্রকাশ করেন তারা। তবে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে হতাশা প্রকাশ করেছে কৃষকরা।

এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছি। এখন পর্যন্ত বোরো চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। তাই ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর