১৭ মে, ২০২১ ১৬:০৬

দিনাজপুরে রাবার ড্যামে বদলে গেছে জীবন-জীবিকা

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর থেকে

দিনাজপুরে রাবার ড্যামে বদলে 
গেছে জীবন-জীবিকা

দিনাজপুরের ৭ উপজেলার মানুষের জীবন-জীবিকা বদলে দিয়েছে পাচঁটি রাবার ড্যাম। এসব রাবার ড্যামের ফলে শুষ্ক মওসুমে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক। এতে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়াও এ অঞ্চলের জীববৈচিত্রেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আত্রাই, টাঙ্গন, পূনর্ভবা নদীতে ‘মোহনপুর, কাঁকড়া, রানীরঘাট, সাগুনি ও পাথরঘাটা’ এলাকায় নির্মিত হয়েছে এই রাবার ড্যাম। এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি, পরিবর্তন এসেছে জীব বৈচিত্রেও। আর দিনাজপুরের এই পাঁচটি রাবার ড্যাম বদলে দিয়েছে জেলার সাত উপজেলার আড়াই শতাধিক গ্রামের ১১ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা।

ওইসব এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, রাবার ড্যাম হওয়ার পর বদলে গেছে নদীর দুই পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা। পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে পূরণ হচ্ছে সেচের অভাব। পড়ে থাকা জমিতে খরা মৌসুমেও কৃষক চাষাবাদ করতে পারছেন। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে আয়। পাশাপাশি অনেক স্থানে খাবার পানির সংকট মিটেছে। এছাড়াও মৎসজীবী পরিবারদের মিটছে মৌলিক চাহিদা। সৃষ্টি হয়েছে মাছ চাষের সু-ব্যবস্থা।

কৃষকরা বলছেন, এক সময় বোরো মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে মারাত্মক দূশ্চিন্তায় থাকতো এসব এলাকার কৃষক। কিন্তু রাবার ড্যাম নির্মাণ হওয়ায় বোরো আবাদসহ সবসময় সেচ নিয়ে আর তাদের ভাবতে হচ্ছে না। রাবার ড্যাম থেকে সেচ সুবিধা নিতে কৃষকদের দিতে হচ্ছেনা কোন অতিরিক্ত খরচ। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

বোচাগঞ্জ উপজেলার ওই রাবার ড্যাম এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুদ্দিন চৌধুরী জানান, টাঙ্গন নদীর ওপরে রানীরঘাট রাবার ড্যামটি অবহেলিত এই জনপদের লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্যাম বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম রাবার ড্যাম প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বলে মনে করেন তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর