১৮ মে, ২০২১ ১৮:৪৯

কর্মের টানে মানুষ ছুটছে ঢাকায়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

কর্মের টানে মানুষ ছুটছে ঢাকায়

নাড়ীর টানে যেমন ছুটে এসেছিল বাড়িতে ঠিক তেমনি কর্মের টানে ছুটে যাচ্ছে মানুষ ঢাকায়। কোনো বাধায় ঠেকাতে পারছে না তাদের। যত ভোগান্তি হোক না কেন ঢাকায় যেতে হবেই। চাকরি বা কর্মস্থলে যোগদান করতেই হবে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় পরিবহন সংকট কিছুই দমাতে পারছে না তাদের। 

ছোট ছোট ক্যাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেল, ট্রাকে গাদাগাদি করে ছুটছে মানুষ। এমনকি গরু ভর্তি ট্রাক ও মুরগীবাহী গাড়িতে মুরগীর খোপের মধ্যে বসেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ফিরছেন তারা। মানুষের চাপের কারণে যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কে কম থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক ও মাইক্রোবাস ছিল চোখের পড়ার মত। ঈদের চতুর্থ দিন গত ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর দিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে।

এর মধ্যে প্রায় সবগুলো ট্রাক, মিনিট্রাক ও মাইক্রোবাস। প্রতিটি ছোট ট্রাকে অন্তত ২০জন এবং বড় ট্রাকে অন্তত ৭০জন করে যাত্রী ছিল। ট্রাকগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে। কিন্তু সে উদ্দেশ্যে সফল না হয়ে উল্টো পণ্যবাহী ট্রাক যাত্রী পরিবহন করায় হিতে বিপরীত হয়ে পড়ছে। 

ট্রাকযাত্রী আরেফিন জানান, লকডাউনে সরকার পরিবহন বন্ধ করে করোনা ঝুঁকি কমানোর চাইয়ে আরও বেশী করে যাতে ছড়িয়ে পড়ে সেই কাজ হচ্ছে। বাসগুলোতে তাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করা যেতো। কিন্তু ট্রাক-মিনিট্রাক ও মাইক্রোবাসে স্বাস্থ্যবিধির ‘স’ নাই। কারো মুখে মাস্ক নেই। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

আরেক যাত্রী হাসান বাবুল জানান, লকডাউনে এমনিতেই কর্মের সংকট। তার মধ্যে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা এবং বাড়ি থেকে ঢাকায় যেতে একমাসের বেতন শেষ। এতো কষ্ট আর সহ্য হয় না। 

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, যাত্রীবাহী বাস না থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, কার ও মোটরসাইকেলের চাপ ছিল। এসব গাড়ীতে পণ্যের চাইতে যাত্রী বেশি ছিল। সরকার প্রজ্ঞাপনে আমাদের যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ মোতাবেক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস সেতুর পার হতে দিচ্ছি না। কিন্তু পণ্য বাহী ট্রাকে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পারাপার হলেও আমরা কিছু করতে পারছি না। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর