গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু গৃহকর্মী মিম আক্তারকে (৯) নির্যাতনের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী জেসমিন (৩৪)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর মিলগেইট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিত শিশু নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার বজরা গ্রামের আনিসুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে থানায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, বাসায় শিশু বাচ্চার পরিচর্যা ও কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করানোর কথা বলে প্রায় এক বছর আগে টঙ্গীর মিলগেইট এলাকার ভাড়া বাড়িতে শিশু মিমকে নিয়ে নিয়ে আসেন গৃহকর্তা দেলোয়ার। শিশু হওয়ায় বাসার ভারি কাজ করতে পারত না মিম। কাজ না করতে পারায় প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন দেলোয়ার, তার স্ত্রী জেসমিন ও মেয়ে সায়মা।গত রবিবার বিকালে নির্যাতনের পর একটি মাইক্রোবাসে করে গৃহকর্তার আত্মীয় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার বজরা গ্রামের সালাউদ্দিনের বাড়িতে রেখে আসেন। পরে সালাউদ্দিন মিমের পিতার কাছে মিমকে পৌঁছে দেওয়া হলে মিমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে মিমের পিতা টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ দেলোয়ারকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
তবে অভিযুক্ত দেলোয়ার বলেন, আমার আত্মীয় সালাহ উদ্দিনের মাধ্যমে মিমকে আমার বাসার কাজ করাতে নিয়ে এসেছিলাম। গত রবিবার সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসি। আমরা শিশুটিকে নির্যাতন করি নাই।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, কাজের মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর