২০ জুন, ২০২১ ১৭:৫৪

নতুন ঘর পেয়ে ওরা আনন্দে আত্মহারা

শেরপুর প্রতিনিধি:

নতুন ঘর পেয়ে ওরা আনন্দে আত্মহারা

ওরা বৃত্তহীন। ওদের থাকার জায়গা নেই। এমন ১৬৭ পরিবার উঠল প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বপ্নের ঘরে। এই উপকার ভোগীদের মধ্যে আছেন ভূমিহীন, বিধাব, বৃদ্ধ ও অস্বচ্ছল সুবিধা বঞ্চিত মানুষ। ঘর পেয়ে আজ আনন্দে আত্মহারা শেরপুরের ১৬৭টি পরিবার।

রঙিন টিনে আধা পাকা ঘরগুলোতে বইছে আনন্দের জোয়ার। ঘরের থাকার কক্ষের সঙ্গে রান্নাঘর।পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো। বিদ্যুৎ পানি আছে সবই আছে। পরিবার নিয়ে এখন তারা নিজের ঘরে শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারবেন বলে জানিয়েছে উপকার ভোগীরা। নতুন নির্মিত ঘরগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে ঘরের দরজার সামনে লাগানো হয়েছে নামফলক, ঝুঁলানো হয়েছে ‘নৌকা তরুণ’। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে নতুন জামা-কাপড়। সবমিলিয়ে নিজের নামে জমির দলিল ও জমির ওপর সেমি পাকা ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে বইছে আনন্দ। নতুন নির্মিত ঘরগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে ঘরের দরজার সামনে লাগানো হয়েছে নামফলক, ঝুঁলানো হয়েছে ‘নৌকা তোরণ’। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে নতুন জামা-কাপড়। সবমিলিয়ে নিজের নামে জমির দলিল ও জমির ওপর সেমি পাকা ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে বইছে আনন্দ।
                     
রবিবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে দেশের চারটি উপজেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা একটি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি ঝিনাইগাতির হলদীগ্রাম আশ্রয়কেন্দ্র উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এক উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ আতিকের সাথে ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ,  শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ প্রমুখ।

হলদীগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ৩ একর ১৩ শতক আয়তনের এ জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পরিবার আছে। নতুন করে যুক্ত হলো আরও ২৫টি পরিবার। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর প্রদান উপলক্ষে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে কদিন থেকেই। আজ এই ঘর হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে ঘর পেল ওইসব মানুষজন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর