মেহেরপুরে দিন দিন বাড়ছে করোনার প্রকোপ। দিন দিন যেমন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে যখন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আলোচনার-সমালোচনা শোনা যাচ্ছে, তখন করোনা চিকিৎসায় নিরলসভাবে কাজ করছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ঢোকা মাত্রই হাসপাতাল সম্পর্কে প্রচলিত সাধারণ ধারণাগুলো বদলে যাবে। নিরলসভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের সেবাদানকারী টিম।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মকলেসুর রহমান বলেন, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কঠোরভাবে। ফলও পাওয়া গেছে। করোনা রোগীর মৃত্যুর হার অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক কম আমাদের। হাসপাতালের মূল ভবনের নিচের ওয়ার্ড ও ডাইরিয়া ওয়ার্ড পুরোপুরি কোভিড রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কোভিড ইউনিট এখন আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত।তিনি বলেন, ৫০ শয্যার এই ইউনিটে একটি করোনা ওয়ার্ডের পাশাপাশি রয়েছে ৩টি কেবিন। রয়েছে ৪টি ভেন্টিলেটর, উন্নতমানের কোভিড আইসিইউ ইউনিট রয়েছে ৩টি, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা রয়েছে ১২টির ওপরে। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১১২টি। অক্সিজেন কনন্সিলেটর রয়েছে ১৬টি। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ৬ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে। এই অক্সিজেন প্লান্টটি থেকে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চ চাপে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা গ্রহণকারী আশরাফুল হক জানান, করোনাজনিত কারণে প্রায় ১৮ দিন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখানে ডাক্তার নার্সদের সর্বক্ষণিক সেবা পেয়েছি।
তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারিতে হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের এই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেবা দিয়েছে। এ কারণে তারা কোভিডমুক্ত হওয়ার পর নতুন উদ্যমে উজ্জ্বীবিত হয়ে আবারও চিকিৎসাসেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপতালটিতে ১৬০ জনকে একই সাথে চিকিৎসা প্রদানের সরঞ্জাম রয়েছে। চিকিৎসাসেবা প্রদান কার্যক্রমে যাতে কোনো ত্রুটি না হয়, সেজন্য সারাক্ষণ মনিটরিং করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই