কঠোর লকডাউনের আজ শুক্রবার প্রথম দিনে বাগেরহাট জেলার অধিকাংশ দোকাপাট-ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সকাল থেকে শহরে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বিজিবিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
তবে এসবের ফাঁক গলিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীবাহী কিছু দূরপাল্লার পরিবহনসহ ইজিবাইক, ইঞ্চিন চালিত নসিমন-করিমন, রিক্স-ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। লকডউনের মধ্যে সকালে ফকিরহাটে মোংলা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রাকের সাথে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৬ জন পান বরজের শ্রমিক নিহত ও ইজবাইকের চালক গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে, লকডাউনে জেলাজুড়ে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১২টি টিম। মোংলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খোলা রয়েছে বন্দরের শিল্প এলাকার কিছু কিছু কলকারখানা। মাস্ক নেই অধিকাংশের মুখে। সকালে মোংলার মামার ঘাট দিয়ে খেয়া পার হয়ে সে সকল কারখানায় যেতে দেখা গেছে শ্রমিক-কর্মচারীদের। মোংলা শহরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নির্দেশনা না মেনে কিছু কিছু দোকান খুলতে দেখা গেছে।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন জানান, সরকারের নির্দেশে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মোংলা সমুদ্র বন্দরে বিদেশি জাহাজের আগমন ও নির্গমন স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল ও জেটিতে অবস্থানরত ১২টি পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ চলছে। করোনা মহামারীর মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বন্দরের হারবার বিভাগ।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির
