২৪ জুলাই, ২০২১ ১৯:২৯

‘পাওনা টাকার শোকে’ মৃত্যু, লাশ নিয়ে দেনাদারের বাড়িতে স্বজনরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

‘পাওনা টাকার শোকে’ মৃত্যু, লাশ নিয়ে দেনাদারের বাড়িতে স্বজনরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনাদার সুনীল চন্দ্র দাসের (৪০) লাশ নিয়ে দেনাদারের ঘরের সামনে অবস্থান করেছেন স্বজনরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনাদার সুনীল চন্দ্র দাসের (৪০) লাশ নিয়ে দেনাদারের ঘরের সামনে অবস্থান করেছেন স্বজনরা। শনিবার সকালে উপজেলার মহিপুর থানার মৎস্য বন্দর আলীপুরে এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে পাওনা টাকার শোক সইতে না পেরে, শুক্রবার রাত ৯টায় নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ নিয়ে স্বজনরা দেনাদার ইউসুফ মুসুল্লির ঘরের সামনে অবস্থান করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে আলীপুর বাজারের স্থানীয় ইউসুফ মুসুল্লি নামের একজনের কাছ থেকে আট লাখ টাকায় তিন শতক জমি কেনেন সুনীল চন্দ্র দাস। তিনি পেশায় একজন লন্ড্রি ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু তাকে জমি বুঝিয়ে দেননি ইউসুফ মুসুল্লি। এরপর থেকে টাকা ফেরত চেয়ে আসছিলেন সুনীল। একপর্যায় সুনীল দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে টাকার অভাবে স্বজনরা চিকিৎসা করতে পারছিলেন না। শুক্রবার রাতে নিজের বসতঘরে তার মৃত্যু হয়। এরপর শনিবার সকাল ৯টা থেকে পাওনাদার সুনীল চন্দ্র দাসের লাশ নিয়ে স্বজনরা দেনাদার ইউসুফ মুসুল্লির ঘরের সামনে অবস্থান করেন।

মৃত সুনীল দাসের স্ত্রী মাদুরী দাসের দাবি, তার স্বামী স্থানীয় ইউসুফ মুসুল্লির কাছ থেকে আট লাখ টাকায় তিন শতক জমি কেনেন। কিন্তু জমি বুঝিয়ে দেননি। এরপর থেকে টাকা ফেরত চেয়ে আসছেন তার স্বামী। টাকার শোক সইতে না পেরেই মৃত্যু হয় তার।

লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মৃত সুনীল জমি কেনার জন্য ইউসুফ মুসুল্লিকে টাকা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক বসলেও টাকা কিংবা জমি ফেরত দেননি। আমার জানামতে, সুনীল অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। 

এ বিষয়ে ইউসুফ মুসুল্লির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, পুলিশি সহায়তায় লাশ সৎকার করা হয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে, তাদের অইনগত সহায়তা দেওয়া হবে। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর