বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদী সংলগ্ন নার্সারির মধ্যে থেকে কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. খলিলুর রহমান (২০)। সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল দশটার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামস্থ একটি নার্সারি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কলেজছাত্র খলিলুর রহমান উপজেলার একই ইউনিয়নের গাড়ীদহ মধ্যপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় শেরপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, খলিলুর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকরা পরিকল্পিতভাবে অন্য কোথাও হত্যার পর তার লাশটি এখানে ফেলে রেখে গেছেন।নিহতের চাচা সাইদুর রহমান জানান, রবিবার (২৫জুলাই) সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হন খলিলুর রহমান। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সোমবার সকালের দিকে বাংড়া গ্রামস্থ করতোয়া নদী সংলগ্ন নার্সারির মধ্যে কাঁদা মাটিতে মাখা একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে অন্যদের সঙ্গে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। পরে লাশটি ভাতিজা খলিলুর রহমানের বলে শনাক্ত করেন। সেইসঙ্গে থানায় সংবাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
তার অভিযোগ, ভাতিজা খলিলুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করেন তিনি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাই এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ