নওগাঁর চাঞ্চল্যকর ডিস ব্যবসায়ী উজ্জল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ধারের টাকা না দিতেই তিন বন্ধু মিলে খুন করে তাকে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার আব্দুল মান্না মিয়া জানান, নিহত উজ্জল একজন ডিস ব্যবসায়ী ছিলেন। মাঝে মধ্যে নেশা গ্রহনেরও অভ্যাস ছিল তার। বেশ কিছুদিন আগে তার অন্তরঙ্গ বন্ধু সুজন ও শরিফ উজ্জলের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ঋন করেন। সেই ঋনের সুদের টাকার জন্য কয়েকদিন ধরেই চাপ দিচ্ছিলেন উজ্জল। এমন পরিস্থিতিতে সে টাকা না দিতে ঈদের পরদিন দুপুরে স্থানীয় বাজারে একত্রিত হয়ে উজ্জলকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা।
সেই অনুযায়ী নেশা নেয়া ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শনিবার রাতে বিলভবানীপুর গ্রামের নির্জন বিলের পাশে পাট ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হয় উজ্জলকে। তখন সেখানে সুজন, শরিফ ও রায়হান উপস্থিত ছিলেন। টাকা লেনদেনের কথাবার্তার এক পর্যায়ে সুজন কৌশলে উঠে গিয়ে পিছন থেকে উজ্জলের গলায় ধারালো ছুরি চালায়। সে চিৎকার শুরু করলে অন্য দুজন তার হাত-পা চেপে ধরে গলা কেটে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য শরিফের কাছে থাকা আরেক চাকু দিয়ে দু’পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়।এরপর খুনিরা লাশ গুমের জন্য একটি পাটক্ষেতে ফেলে আসে উজ্জলের মৃতদেহ। পুলিশ সুপার আরো জানান, ঘটনার পর উজ্জলের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই সূত্র ধরে এরই মধ্যে ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আরেকজনকে খুঁজতে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই দিবাগত রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল নওগাঁ সদর উপজেলার বিলভবানীপুর গ্রামের রহিমা বেগমের ছেলে উজ্জল হোসেন। পরদিন সকাল ৯টার দিকে গ্রামের পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তা ও জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন