৩১ জুলাই, ২০২১ ২০:০৮
‘পরিবহন চালু না করে কীভাবে পোশাক কারখানা খুলে দিল?’

এভাবে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের একটি দিন

‘নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগ দিতে না পারলে আমাদের চাকরি থাকবে না’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

এভাবে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের একটি দিন

ট্রাকে গাদাগাদি করে করে কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে হঠাৎ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার ঘোষণা। ঢাকায় ফিরতে শ্রমিকরা পেলেন মাত্র একটি দিন। সড়কে চলছে না গণপরিবহন। বাধ্য হয়ে এমন দিনে ট্রাকে গাদাগাদি করে, স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের এমন উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া, ভোরের দিকে অনেক বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। দুপুরের দিকে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাসে গাজীপুরের চন্দ্র পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা। ৬ থেকে ৭টা বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভূঞাপুর হতে চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল জনপ্রতি ৬০০ টাকা করে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঢাকামুখী মানুষের ঢল। এর ফলে কর্মস্থলে ফেরা এসব শ্রমজীবী মানুষ খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এ যাত্রায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সকাল থেকে থেমে থেমে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ভিজে খোলা ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, মির্জাপুর অংশে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় রয়েছে। এ ছাড়া পরিবহন না পেয়ে অনেককেই হেঁটে যেতে দেখা গেছে। তবে মহাসড়কে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা এসব বিষয়ে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় পোশাক কারখানার শ্রমিক ইতি, ইশরাত, সুফিয়ার সঙ্গে। ইশরাত বলেন, ছুটি নিয়ে ঈদে বাড়িতে  এসেছিলাম। পরিবহন চালু না করে কীভাবে পোশাক কারখানা খুলে দিল? এখন আমরা কীভাবে কর্মস্থলে যাব। কিছু যানবাহন পাওয়া যায়, তাতেও তিনগুণ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার যাই বলুক না কেন, নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদান করতে না পারলে আমাদের চাকরি থাকবে না। 

রফিকুল ইসলাম কাজ করেন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায়। কারখানা খোলার ঘোষণা আর কোম্পানি থেকে নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদানের জন্য তাকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, চাকরি বাঁচাতে, এভাবে গাদাগাদি করে যেতে বাধ্য হচ্ছি। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর