৩১ জুলাই, ২০২১ ২১:২৭

ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ!

খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব

বগুড়ার শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে (৪৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি খামারকান্দি গ্রামের ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ গ্রামের আব্দুল আহাদ আলীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী গত এক বছর আগে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আব্দুস সালামকে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ওই ব্যক্তি। সেইসঙ্গে টাকা পরিশোধে নানারকম তালবাহানা করতে থাকেন। এমনকি ওই পাওনা টাকা দিতে অস্বীকারও করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করতেও হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় তাকে। 

একপর্যায়ে টাকা আদায় ও ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের শরণাপন্ন হন গৃহবধূ। পরবর্তীতে শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে বিচারের কথা বলে তাকে পৌরশহরের জগন্নাথপাড়াস্থ ভাড়াবাসায় ডেকে আনেন ইউপি চেয়ারম্যান। এরপর সেখানে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘পাওনা টাকা তুলে দেওয়া ও বিচারের কথা বলে আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি কেউ নেই। দুইদিন আগেই সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। তাই বাসায় শুধু চেয়ারম্যান একাই রয়েছেন বলে জানান। তখন কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে ধর্ষণ করা হয়।’ 

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ‌‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্যই আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। পরে ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে আসামিকে ধরতে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর