২ আগস্ট, ২০২১ ১৩:০৩

জোয়ারের পানিতে ভাঙন, হুমকিতে শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধ

টেকনাফ প্রতিনিধি

জোয়ারের পানিতে ভাঙন, হুমকিতে শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধ

টেকনাফে জোয়ারের পানির আঘাতে বেড়িবাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধ। ফলে ওই এলাকার ৪০ হাজার মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার ভারি বর্ষণে আবারও প্লাবিত হয়েছে টেকনাফ উপজেলার একটি পৌরসভার, হ্নীলা ও বাহারছড়া এ দুইটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম। এতে করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল রবিবার (২ আগস্ট) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলায় ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্নীলা ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ১৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ১ হাজার ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন।

তারা বলেন, এই দুইটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম ডুব গেছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর প্রবল জোয়ারের পানিতে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে গত শনিবার তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়িও ফিরছিলেন।

রবিবার নতুন করে বৃষ্টিপাতে আবারও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। প্লাবিত ১৮টি গ্রাম হল- হ্নীলার ওয়াব্রাং, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, সিকদারপাড়া, উলুচামারি, রঙ্গিখালী, লামারপাড়া, কোনাপাড়া ও বাহারছড়ার শামলাপুর, শিলখালী, চৌকিদারপাড়া, বাইন্না পাড়া, কাদের পাড়া, হলবনিয়া, জাহাজপুরা, হাজাম পাড়া, মারিশবনিয়া, মাথাভাঙ্গা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর সমান পানিতে ডুবে গেছে বেশিরভাগ এলাকা। টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বসতঘর, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও মসজিদ হাঁটু ও কোমর সমান পানিতে ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে শিশু-নারী-পুরুষরা অন্যত্রে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। এ দুইটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্রধান সড়কগুলোতে পানিতে ডুবে থাকা দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

লামারপাড়ার বাসিন্দা ছৈয়দ আলম বলেন, হঠাৎ এভাবে ভারী বর্ষণ হবে কল্পনাও করিনি। এবছর বর্ষার শুরুতেই এ এলাকায় পানি উঠেনি। বর্ষার শেষে আচমকা অবিরাম বর্ষণের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বসত-ঘরে ঘুমানোর সুযোগ নেই। এলাকার স্লুইচগেট আর খাল খনন খুবই জরুরী।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে স্লুইচগেট না থাকায় বারবার এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাশাপাশি খাল খনন করা হলে এসব দুর্ভোগ থেকে স্থানীয় লোকজন পরিত্রাণ পাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিনে ভারী বর্ষণে টেকনাফে পাহাড় ধসে এক পরিবারের ৫ শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছিল। প্লাবিত হয়েছিল একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর