৪ আগস্ট, ২০২১ ১০:০৫

সংসারেও অবদান রাখছেন নীলফামারীর নারী শ্রমিকরা

নীলফামারী প্রতিনিধি

সংসারেও অবদান রাখছেন নীলফামারীর নারী শ্রমিকরা

নদী ও রাস্তার পাশে নারীদের পাটের আঁশ ছাড়ানোর দৃশ্য

পাট মৌসুমে বাড়তি আয়ের সন্ধানে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন নীলফামারী জেলার নারী শ্রমিকেরা। 'অভাব দূর করতে কাজে নেমেছি। একজনের (স্বামী) উপার্জন দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্ট হয়।' বলছিলেন নীলফামারী শহরের বাড়াইপাড়া এলাকার ১নম্বর ওয়ার্ডের নারী শ্রমিক কল্পনা রানী।

তবে ন্যায্য মুজুরী না পাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে তার। তিনি বলেন, 'একজন পুরুষ যতটুকু সময় দেন, আমরা নারীরাও ততটুকুই সময় দেই। পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কাজ কম করি না। সমপরিমাণ শ্রম দিলেও শ্রমের ন্যায্য মুজুরি দেয়া হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে পুরুষের অর্ধেক মজুরি আমরা পাই।' 

আরও রয়েছেন গিরি বালা, ত্রিবালা রানী ও মমমিতা রানীর। তাদের মত শত শত নারীদের ব্যস্ত নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ি, টুপামারী, চওড়া বড়গাছা, গোড়গ্রাম, খোকশাবাড়ি। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ও রাস্তার পাশে নারীদের পাটের আঁশ ছাড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ে। দল বেঁধে ১৫/২০ জন দল হয়ে পাটের মৌসুমে পাটের আঁশ উঠানোর কাজ করছেন তারা। 

কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায় জানান, করোনায় শ্রমিকেরা কর্মহীন ছিল বেশ কয়েক মাস। এতে পরিবারে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অভাব অনটন। পুরুষ শ্রমিকরা বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যায়। নারী শ্রমিকদের কম মুজুরিতে পাওয়া যায়। অনেক নারী শ্রমিক টাকা না নিলেও টাকার পরিবর্তে পাটখড়ি নিয়ে যান। এখানে বিভিন্ন বয়সের নারী শ্রমিকেরা পুরুষের সঙ্গে সমান তালে জীবিকা নির্বাহ করছেন। 

নীলফামারী জেলা পরিষদের সদস্য নারী নেত্রী ইসরাত জাহান পল্লবী বলেন, এই অঞ্চলের নারীরা অনেক কর্মঠ। কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু সঠিক মুজুরি পান না। 

 


বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর