১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৫১

সিংড়ায় পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

নাটোর প্রতিনিধি

সিংড়ায় পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

নাটোরের সিংড়ায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন প্রধান শিক্ষকের কাছে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করা হয়।

জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিংড়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষককে (০১৮৯০৯৮০৪৩৫) নম্বর থেকে মুঠোফোনে কল দিয়ে নিজেকে সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন প্রতারক। এসময় প্রতারক শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মাদক মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। এতে ভীত হয়ে চারজন প্রধান শিক্ষক (০১৩১৬১১৬১৮৪) প্রতারকের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার করে টাকা দেয়। পরে তারা জানতে পারেন, এটা প্রতারক চক্রের কাজ।

প্রতারক চক্রকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয় চৌগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃঞ্চপদ কর্মকার, বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খসরুজ্জামান, বিলচলন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহুরুল ইসলাম ও জয়নগর তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খসরুজ্জামান বলেন, মুঠোফোনে আমাকে কল দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং চাঁদা দাবি করে। আমি ভীত হয়ে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বামিহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর কাদির বলেন, আমাদের প্রতারক চক্র মুঠোফোনে কল দিয়ে চাঁদা দাবি করে। চারজন শিক্ষক ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) নাম রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা নয়। এটা প্রতারক চক্রের কাজ। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর