১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:১৮

পানির নিচে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পানির নিচে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতু। রবিবার সকালে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ঝুলন্ত সেতুর উপর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পানি না কমা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানা গেছে। 

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙামাটির পর্যটন কর্পোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেতুর উপর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যতদিন সেতুর পাটাতন পানির নিচে থাকবে, ততদিন  নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, রাঙামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাই প্রায় প্রতিদিন হাজারো দেশি-বিদেশী পর্যটক এ ঝুলন্ত সেতু দেখতে ভিড় জমায় রাঙামাটিতে। ঝুলন্ত সেতুর কারণে পর্যটনের রাজস্ব খাতে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখন আবার পানির কারণে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ রাখা হয়েছে। পর্যটকরা হতাশ না হওয়ার জন্য ঝুলন্ত সেতুর আশপাশে নৌযানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নৌকা শাম্পান কিংবা স্পিট বোটে পারাপার করা যাবে ঝুলন্ত সেতুর সংযোগ পাহাড়ে। 

এ ব্যাপারে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌযান ঘাটের ম্যানেজার মো. রমজান আলী জানান, সংযোগ সেতুর দুই পাহাড়ের জন্য আমাদের নৌযান প্রস্তুত রয়েছে। পর্যটকরা চাইলে হ্রদে ভ্রমণ করে ঝুলন্ত সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। কারণ পর্যটন এলাকায় দৃশ্যমান হ্রদের বিস্তৃত জলরাশি ও দূরে উঁচ-নীচু পাহাড়ের সারি তৈরি করেছে চমৎকার এক নৈসর্গিক আবেশ।

জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে পর্যটন কমপ্লেক্সের মূল মোটেলটি এবং ১৯৮৬ সালে আধুনিক অডিটোরিয়াম ও দু’টি পাহাড়ের সংযোগ দেয়া কাপ্তাই হ্রদের ওপর ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করা হয়। ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটন কমপ্লেক্সের গুরুত্ব ও আকর্ষণ অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পাহাড়ের বুক চিরে প্রবহমান স্বচ্ছ জলধারা সবুজ প্রাণের ছোঁয়া এ জেলাকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। হ্রদ, পাহাড়, ঝর্ণা অপরূপ অরণ্য আর কোলাহলমুক্ত পার্বত্য জনপদ রাঙামাটি মানুষের হৃদয় মন্দিরে স্থান করে নিয়েছে বহু আগেই।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর