বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ করতে গিয়ে ১০ দিনে ধরে ১৪ জন জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে এফবি মা-বাবার দোয়া নামে একটি ফিশিং ট্রলার। নিখোঁজ ট্রলারটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর এলাকার মৎস্য আড়তদার মো. কবির হোসেন ওরফে হুমায়ুন কবিরের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রলার মালিক কবির আড়তদার জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে রাজৈর মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে তার ট্রলারটি ১৪ জন জেলেসহ সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওইদিন শরণখোলার আরো বেশ কয়েকটি ট্রলারও রওয়ানা দেয় একই সঙ্গে। মাছ ধরে ৭-৮ দিনের মধ্যে ঘাটে ফিরে আসার কথা। নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পার হতে চলেছে। একই সঙ্গে যে সব ট্রলার গিয়েছিল তা মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যে (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে।
এদিকে, ট্রলারটির কোনো সন্ধান না পেয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মৎস্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। ট্রলারটি কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কি না তাও সঠিক বলতে পারছেন না। তার ট্রলারের মাঝির নাম মঞ্জু মিয়া। তার বাড়ি নোয়াখালীতে। অন্য জেলেদেরর কয়েক জনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।মৎস্য ব্যবসায়ী সহিদ ভূঁইয়ার এফবি কামাল ট্রলারের মাঝি সিরাজ মিয়া ও ছগির হাওলাদারের এফবি আল্লাহর দান তোফা ট্রলারের মাঝি ইলিয়াস হোসেন জানান, মা-বাবার দোয়াসহ তারা ওইদিন একই সাথে ১০-১২টি ট্রলার ঘাট থেকে ছেড়ে যান। সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে তারা যে যার মতো জাল ফেলে মাছ ধরেন। ৭-৮ দিনের মধ্যে সবাই ফিরেছেন। কিন্তু ওই ট্রলারটি কোথাও দেখেননি তারা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, ফিশিং ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে জানা নেই। অভিযোগ পেলে খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন