১৯ মে, ২০২২ ১৯:১৬

খানসামায় ঝড়ে লণ্ডভণ্ড গাছপালা, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

খানসামায় ঝড়ে লণ্ডভণ্ড গাছপালা, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

ঝড় হাওয়ায় তাণ্ডবে দিনাজপুরের খানসামায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলা, ভুট্টা ও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের চালা। নষ্ট হয়েছে ঘরে রক্ষিত খাদ্য সামগ্রী। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘরের আসবাবপত্র। ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের অসংখ্য মিটার। রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে। বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। ঝড়ে খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া পাঁচপীর ফাজিল মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে খানসামা উপজেলার ঝড়, শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঝড় দুই দফায় স্থায়ী ছিল প্রায় ঘণ্টা খানেক।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত ১০টার পর হঠাৎ ঝড়, শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে খানসামার আংগারপাড়া ইউপির সূর্বণখূলী ওকড়াবাড়ি এলাকায় প্রায় শতাধিক ভেড়ভেড়ী ইউপির বালাডাঙ্গী, চকরামপুর, হোসেনপুর, চকসাকোয়া, সরহদ্দ, ভেড়ভেড়ী, টংগুয়া মাদারপীর গ্রামের তিন শতাধিক ও আলোকঝাড়ি ইউনিয়নেও শতাধিক বাড়ি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো শতাধিক বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

সূবর্ণখুলী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, বিছানাই ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড়ে বাড়ির পার্শের বড় গাছগুলো হুড়মুড় করে ঘরের উপর পরে। এতে ঘর ভেঙ্গে পড়ে। জীবন রক্ষার্থে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে আমরা বের হই। ঝড়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে তারা নিরুপায়। অনেকে খোলা আকাশের নিচে বৃহস্পতিবার দিন কাটিয়েছে। নষ্ট হয়েছে আবাদি ফসল। ভেঙ্গে গিয়েছে তাদের ঘর-বাড়ি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, ঝড়ে আক্রান্ত ফসলের মধ্যে বোরো ধান ৪৫ হেক্টর, পাট ২৫ হেক্টর, সবজি ১০ হেক্টর, আম ২৫ হেক্টর, লিচু ৩৫ হেক্টর। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারনে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি ও কৃষি খাতের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ইউনিয়ন পরিষদ ও কৃষি বিভাগ কাজ করছে। সেটি হাতে পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের খাদ্য সামগ্রী, টিন ও আর্থিক সহায়তা করা হবে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর