১০ আগস্ট, ২০২২ ১৬:৫১

চাঁদপুরে পাট জাগে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

চাঁদপুরে পাট জাগে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক

চাঁদপুরে পাট জাগে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক

চাঁদপুরে এবছর পাটের আবাদ সন্তোষজনক হলেও পাট জাগ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। জেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে পাট কেটে সোনালী আঁশ ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে কৃষক। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা বিপাকে রয়েছে। এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। 

কৃষক আলী হোসেন ও সিরাজ দেওয়ান বলেন, পাটের অধিক আবাদ ও ফলন ভালো হলেও বিভিন্ন জলাধারে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এবছর বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া, এমনকি বর্ষার শেষে প্রখর রোদে খাল, পুকুর ও বিভিন্ন জলাশয় শুকিয়ে গেছে। অনেকে বাড়তি টাকা খরচ করে দূরে নদী ও ডোবায় নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। আবার কেউ পুকুর ও ডোবা ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছে। অনেক কৃষক জাগ দেওয়ার চিন্তা করে পাট কাটছে না। ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই উৎপাদিত পাট জাগ দিয়ে পচানোর জন্য কৃষকরা দ্রুত সরকারিভাবে সমস্যা সমাধানের আশা করছেন।

এবছর চাঁদপুর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর, হাজিগঞ্জ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬৮৫ হেক্টর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৫৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে মাঠ পর্যায়ে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। যেহেতু মাঠ পর্যায়ে যখনই পানির স্বল্পতা দেখা দেবে, তখনই বাড়ির আঙিনা বা জমিতে চারকোনা একটি গর্ত করে পলিথিন বিছিয়ে ৩০ কেজি পরিমাণ আঁশের জন্য ৫ গ্রাম ইউরিয়া সার দিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরে আঁশগুলো পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে রৌদ্রে শুকাতে হবে। এই পদ্ধতিতে পাটের আঁশের গুণগত মান উন্নত হবে এবং কৃষকরা ভালো দাম পাবেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর