৩০ মার্চ, ২০২৩ ০৮:৩৭

লিটন-রনির ব্যাটে রেকর্ডের পাতাও ওলটপালট

অনলাইন ডেস্ক

লিটন-রনির ব্যাটে রেকর্ডের পাতাও ওলটপালট

ফাইল ছবি

লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। এতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করেছে আইরিশরা। এতে বাংলাদেশ জিতেছে ৭৭ রানে।

বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড। এরপরই নামে বৃষ্টি। মাঝে একবার বৃষ্টি বন্ধ হলে ১৯ ওভারের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। পরে খেলতে নামার আগেই ফের বৃষ্টি নামায় খেলা ১৭ ওভার নির্ধারণ করা হয়। বৃষ্টির বাধায় ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে টাইগাররা।

এদিন খেলা শুরুর আগে দমকা হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি দেখেছে আয়ারল্যান্ড। মাঠে নেমে তারা পড়ে গেছে লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ঝড়ের কবলে। দুই প্রান্ত থেকেই দাপুটে ব্যাটিংয়ে আইরিশদের বোলিংয়ের পাশাপাশি রেকর্ডের পাতাও ওলটপালট করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার।  

দশম ওভারে বেন হোয়াইটের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ আউট হন রনি তালুকদার। স্কোরবোর্ডে তখন ৯.২ ওভারে ১২৪ রান। উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এটি। এর সঙ্গে দ্রুততম দলীয় ফিফটি ও সেঞ্চুরির রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে।  

গ্যারেথ ডেল্যানির কথা প্রথম ওভারে বাউন্ডারির দেখা পায়নি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের সাফল্য বলতে ওটুকুই। দ্বিতীয় ওভার থেকে শুরু করে নবম ওভার পর্যন্ত বাউন্ডারিবিহীন ওভার আর একটিও কাটায়নি বাংলাদেশ। দুই পাশ থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আইরিশ বোলারদের তুলাধুনা করেন লিটন ও রনি। 

মাত্র ২১ বলে পূরণ হয় বাংলাদেশের ৫০ রান। দ্রুততম দলীয় ফিফটির রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ড ছিল আইরিশদের বিপক্ষেই ২০১৬ বিশ্বকাপে করা ২৪ বলে ৫০ রান।  আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রেখে ২২ বলে আসে পরের পঞ্চাশ। সব মিলিয়ে ৪৩ বলে হয় দলীয় একশ রান। এই সিরিজের আগের ম্যাচেই ৫৩ বলে দলীয় একশ পূরণ করেছিল বাংলাদেশ।  

উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শতরানের জুটি এটি। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে ১০২ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। প্রায় দুই বছর পর সেটি ছাপিয়ে গেলেন লিটন ও রনি।  

সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।  

এদিন, লিটন-রনির ৫৬ বলে ১২৪ রানের জুটির রান রেট ১৩.২৮। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৮২টি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটির মধ্যে ওভারপ্রতি রান তোলার হিসেবে এটিই দ্রুততম। ২৫ রান ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটিগুলোর মধ্যেও এই রান রেট সর্বোচ্চ। 

এর আগে ২০১৬ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৩.০৭ রান রেটে ৬১ রানের জুটি গড়েছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। পরে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফ্লোরিডায় তামিম ও লিটন ৬১ রানের জুটি গড়েছিলেন ঠিক ১৩.০৭ রান রেটেই।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর