ফরিদপুরের সদরপুরে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য একলাছ আলী ফকিরকে (৪৫) কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বেলা চারটার দিকে। একলাছ আলী ফকিরকে বর্তমানে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুয়ায়ী রাত ৮টার সময় তাকে অপারেশ থিয়েটারে রেখে অপারেশন করা হচ্ছিল।
একলাছ আলীর ভাই মোকাদ্দেছ আলী ফকির জানান, তার ভাই সদরপুরের মজুমদার বাজারের কাছে বাবলু বিডিআর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে ১৫/২০ জনের একটি দল তার গাড়ী গতিরোধ করে। এসময় একলাছের বহনকৃত গাড়ীটি ভাংচুরের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একলাছকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। হামলাকারীরা একলাছের মাথা, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন ভাবে মারাত্বক ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা একলাছ ফকিরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহতের ভাই অভিযোগ করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা না দেওয়ায় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাস বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকিরের মদদে এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী আলা শেখ, গিয়াস তালুকদার, আমানত, সিরাজ তালুকদার, বাবলু ফকিরসহ আরো ১০/১৫ জন একলাছকে মারাত্বক ভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। একলাছ আলী ফকির তার দলের লোক হওয়ার কারণে সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকিরের লোকজন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে হামলার সাথে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে বিল্লাল ফকির।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে আমি কিংবা আমার লোক জড়িত নয়।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, জেলা পরিষদের সদস্য একলাছ ফকিরের উপর হামলার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুতই আটক করা হবে। এদিকে, একলাছ আলী ফকিরের উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল