সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শালদাইর গ্রামে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। নিহত সাইফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত তাজেল প্রামাণিকের ছেলে। আহতরা হলো, নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম (৫০) ও মেয়ে বেলি খাতুন (২৫)।
নিহতের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম জানান, বাড়ির পাশে গরুর গোবর মেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে ভাতিজা মনিরুল ইসলাম, তার মামা জয়ান ও তার সহযোগীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে চলে যায়। একইদিন বিকালে তারা দ্বিতীয় দফায় তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার মেয়ে বেলি খাতুন ও স্বামী সাইফুল ইসলামকে মারধর করে আহত করে। এরপর সন্ধ্যায় তৃতীয় দফা মনিরুলের নেতৃত্বে তার মামা জয়ান, ছেলে আনিসুর, বোন জামাই আল আমিনসহ ১০-১২ জন ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, আমার স্বামীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসকরা তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে এখনও নিহতের লাশ এসে পৌঁছায়নি। লাশ এলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল